সাদা পোশাকে প্রায় দেড়যুগ পার করে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান, লম্বা এই সময়ে টেস্ট ডেব্যুতে পাওয়া সবুজ ক্যাপটাও রঙ হারিয়েছে! প্রশ্ন ওঠে দিন বদলের নিয়ম মেনে সাকিবের পারফর্ম্যান্সও রঙ হারায়নি তো? বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে?
ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট কথার সাথে আপনি নিশ্চয়ই পরিচিত, নাজমুল হোসেন শান্তও অপরিচিত নন। দল জিতলেই শুধু চলে না, অধিনায়ককে রীতিমতো পারফর্ম করে উদাহরণ হতে হয়। সেটা পারেননি বলেই মুমিনুলের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে হয়েছিল, শান্তর সাথে থাকা তামিমও দিনের পর দিন সমালোচিত হয়েছেন।
ভিন্ন দু’জন মানুষ হলেও শান্ত-সাকিবের গল্পটা একই। তাদের ব্যাটে রান নাই, দু’জনেই আবার ব্যাট করেন দলের ব্যাটিং অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ দুটো জায়গায়।
কাউন্টিতে সাকিব এক ম্যাচে নিয়েছেন নয় উইকেট! সেই ম্যাচেই ব্যাটার সাকিব দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন মোটে ১২। পাকিস্তানেও বোলিং ভালো করেছেন, ব্যাটিংয়ে সেই নিত্য ব্যর্থতার চিত্র। ছবিতে হাসলেও চলতি বছরে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের ব্যাট হাসছে না। ৭ বছর আগে টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া সাকিব তার ১৭ বছরে টেস্ট ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বাজে বছর পার করেছেন আর একটা, ২০০৭ সালে, এই ফরম্যাটের অভিষেক বছরে।
যদিও সাকিবের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার অধিনায়ক বলেন, আগে যা প্রত্যাশা করতাম, তা–ই করছি। প্রস্তুতি ওনার (সাকিবের) ভালোই হয়েছে, বোলিংটা। যদিও ব্যাটিংয়ে রান করতে পারেননি। কিন্তু প্রস্তুতি ভালো হয়েছে ওনার। এই সিরিজে আশা করি ভালো করবেন।
শান্তর অবস্থা আরও নাজুক, লাস্ট ৯ ইনিংসে ফিফটি নাই, চলতি বছর চার টেস্টে সংগ্রহ সর্বসাকুল্যে ৯০। ক্যাপ্টেন তবুও আশাবাদী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য বাংলাদেশ দল জিতুক। ব্যাটার হিসেবে দলে যেন অবদান রাখতে পারি। ওটার জন্য যে প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, আলহামদুলিল্লাহ নিতে পেরেছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমি দলে অবদান রাখার সর্বোচ্চটা চেষ্টা করব।
ব্যর্থতার সাথে ঘর করলেও শান্ত-সাকিবের প্রস্তুতি নিয়ে কারোরই দ্বিমত থাকার কথা না। শান্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন দেশে, সাকিব বিলেতে! জ্বলে উঠার মঞ্চ বানাতে পারবেন তো চেন্নাই কিংবা কানপুরের ২২ গজকে?