কড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রামপুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার) বেতন-ভাতার ইউনিয়ন পরিষদের অংশ দীর্ঘদিন ধরে না পাওয়ার অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। নিরুপায় হয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসছেন সদস্যরা। গ্রামপুলিশ সদস্যদের অনেকের দাবী স্বজন-প্রীতি করে কাউকে কাউকে কিছু দিনের বকেয়া অর্থ দিলেও অধিকাংশই পাচ্ছেন না তাদের বকেয়া অর্থ।
জানা গেছে,উপজেলার ৬ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন দফাদার ও ৯জন মহল্লাদার দিলে ১০জন হিসাবে উপজেলায় মোট ৬০জন গ্রামপুলিশ(দফাদার ও মহল্লাদার)দায়িত্ব পালন করে আসছে। নিয়মানুযায়ী দফাদার মাসিক ৭হাজার টাকা ও মহল্লাদার ৬হাজার ৫শ টাকা হারে বেতন-ভাতা পাবে। এর মধ্যে ৫০শতাংশ অর্থাৎ দফাদার ৩হাজার ৫শ টাকা এবং মহল্লাদার ৩হাজার ২৫০টাকা সরকারী অংশ যা তারা নিয়মিত পেয়ে আসছেন। বাকী ৫০শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাওয়ার কথা। গ্রামপুলিশ সদস্যদের বেতন ভাতার ইউনিয়ন পরিষদ অংশ ব্যাক্তি ভেদে ২১মাস থেকে ৩৬মাস পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও তাদের যাতায়াত ভাতা(থানায হাজিরা),উৎসব ভাতা,বৈশাখি ভাতা এবং শ্রান্তি বিনোদনের অর্থও বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর সূত্রে জানা যায়,পরিষদের ফান্ড শুন্য থাকায় গ্রামপুলিশদের বেতন বাবদ ৪০লক্ষ ৮৭হাজার ৭৫০টাকা,শ্রান্তি বিনোদন ২লক্ষ ৪৯হাজার টাকা,যাতায়াত ২৭লক্ষ ৩২হাজার ৪০০টাকা ও উৎসব ভাতা ৮লক্ষ ৮৬হাজার ৫০টাকা মিলে মোট ৭৯লক্ষ ৫৫হাজার ২০০টাকা বকেয়া রয়েছে।
রোববার দুপুরে প্রামপুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার)উপজেলা পরিষদের সামনে বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের দাবী নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তারা জানান,২১মাস থেকে ৩৬মাস পর্যন্ত তাদের বেতন ভাতার ইউনিয়ন পরিষদ অংশ, যাতায়াত ভাতা(থানায হাজিরা),উৎসব ভাতা,বৈশাখি ভাতা এবং শ্রান্তি বিনোদনের অর্থও বকেয়া থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। গ্রামপুলিশ সদস্য অনেকের দাবী স্বজন-প্রীতি করে কাউকে কাউকে কিছু দিনের বকেয়া অর্থ দিলেও অনেকে বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না।
উপজেলা গ্রামপুলিশ কমিটির সভাপতি দফাদার মো.আ.আজিজ জানান,আমরা গ্রামপুলিশ সদস্যরা ২১ থেকে ৩৬মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতার ইউনিয়ন পরিষদ অংশসহ আনুষঙ্গি না পেয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছি। এতদিনের বকেয়া চাইতে আসলে আমাদের এক মাসের বকেয়া নেয়ার কথা বলা হচ্ছে,তা নিয়ে কি করবো?
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মিনহাজুল ইসলাম জানান, প্রামপুলিশদের (দফাদার ও মহল্লাদার) বেতন-ভাতার ইউনিয়ন পরিষদের অংশের বকেয়া মিটাতে বরাদ্দ চেয়ে উপরে লেখা হয়েছে। বরাদ্দ আসলে তাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করা হবে।