পিরোজপুরের কাউখালীতে জাহাজ শিল্পে ভয়াবহ বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ মামা ভাগ্নে দুইজনের মৃত্যুর খবর শুনে শোকের মাতম চলছে। উপজেলার পূর্ব বেতকা গ্রামের সবেদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৫০) জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। গত ৭ সেপ্টেম্বর বয়লার বিস্ফোরণের সময় সে গুরুতর আহত হয়। চট্টগ্রাম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত শুক্রবার না ফেরার দেশে চলে যায়। ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে আসা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছ। ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে জানাজা নামাজের পর মরহুমকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।এদিকে মৃত্যু জাহাঙ্গীরের ভাইগ্না উপজেলার দাসেরকাঠী গ্রামের কামাল শেখের ছেলে খাইরুল ইসলাম শেখ (২১) একই জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে গত ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। তার লাশ বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিবারের কান্না ও গ্রামবাসী শোকাহত হয়ে পড়ে। পরে তাকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মামা—ভাইগ্নার এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাউখালীতে এখন শোকের মাতম চলছে। উভয় পরিবারের আয়ের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা এখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। জানাযায়, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এস.এস কর্পোরেশনের জাহাজ ভাঙ্গা ইয়ার্ডে স্কাইপ জাহাজের পাম্পরুমে কাটিং এর কাজ করার সময় বিকট শব্দে এ বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় গুরুতর দগ্ধ ও আহত ১২ জনকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ২ জনই কাউখালীর আপন মামা-ভাগ্নে এবং দুইজনই এক এক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।