ঢাকা, রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ১২:১৬
বাংলা বাংলা English English

রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারডুবি, ৪ জেলের মরদেহ উদ্ধার


কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে কক্সবাজার উপকূলে ৮টি ফিশিং ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সাগর থেকে ফিরে আসেনি কক্সবাজারের ৩০ মাঝি-মাল্লাসহ ১টি ট্রলার। তবে গতকাল রাতে ও শনিবার বিভিন্ন সময়ে ফিরেছে আরও ১০টি ট্রলার।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। এছাড়া অব্যাহত রয়েছে বর্ষণও। কক্সবাজারে গেল ২৪ ঘণ্টায় ২৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ডুবেছে আটটি মাছ ধরার ট্রলার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও শতাধিক জেলে।

এ নিয়ে কক্সবাজার বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গেল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৩টি ট্রলারের ৫ শতাধিক জেলে নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ৮টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ৮টি ট্রলারডুবির ঘটনায় গতকাল ২ জন এবং আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ২ জনসহ মোট ৪জন মাঝি-মাল্লার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ৩০ জন মাঝি-মাল্লাসহ আরও একটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এই ট্রলারটি তীরে ভিড়তে পারছে না। তবে, ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, সাগর উপকূলের লাবণী চ্যানেলে এফবি রশিদা নামের একটি এবং সাগরের ইনানী পয়েন্টে ৫টি ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এসব ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা কূলে উঠতে পারলেও ৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন নামে দুই জেলে সাগরে ডুবে মারা গেছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এবং নুরুল আমিনের বাড়ি বাঁশখালী এলাকায়।

আজ সকালে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আক্তার কামাল।

এদিকে, কক্সবাজারে রেকর্ড ভারী বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে অন্তত ১৮টি সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে হাজারো ঘরবাড়ি। তবে আজ শনিবার বৃষ্টি কমেছে।

অন্যদিকে, কাদায় দুর্ভোগ বেড়েছে পর্যটক ও স্থানীয়দের।

সব খবর