বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢাকা থেকে উপকূলীয় এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকা থেকে ঢাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকার মধ্যে চলাচল করা ছোট লঞ্চগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশেষ নৌ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
এতে বলা হয়, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে চলমান বৈরী আবহাওয়া ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে ২ নম্বর সংকেত এবং সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়। এছাড়া নদীতে প্রচণ্ড রোলিং (ঢেউ) থাকার কারণে এবং যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা থেকে হাতিয়া এবং বেতুয়াগামী এবং বেতুয়া এবং হাতিয়া থেকে ঢাকাগামী এছাড়া ঢাকা থেকে খেপুপাড়াগামী এবং খেপুপাড়া থেকে ঢাকাগামী এই তিনটি উপকূলীয় অঞ্চলের নৌপথের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর থেকে মুন্সিগঞ্জ ও মতলব, বরিশাল নদী বন্দর থেকে বরিশাল উলানিয়া, বরিশাল কালিগঞ্জ, বরিশাল কাচারীখাল, ভোলা নদী বন্দর থেকে ইলিশা-মজু চৌধুরী হাট, আলেকজান্ডার-হাকিম উদ্দিন নৌপথ, মনপুরা-তজুমদ্দিন নৌপথে লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া পটুয়াখালী নদী বন্দর থেকে গলাচিপা-চরমোন্তাজ, গলাচিপা-চরবেষ্টিন, গলাচিপা-লক্ষীরচর, উলানিয়া-চরমোন্তাজ, চিকনীকান্দি-চরমোন্তাজ নৌপথের নৌযান এবং বোয়ালিয়া-কোড়ালিয়া নৌ পথের স্পিডবোট বন্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম দপ্তরের নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন কুমিরা-গুপ্তছড়া, বাঁশখালী-কুতুবদিয়া, পেকুয়া-কুতুবদিয়া, কক্সবাজার-মহেশখালী, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, নোয়াখালী-হাতিয়া, চট্টগ্রাম-হাতিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সব নৌপথের নৌচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে আরিচা-আরিচা-পাটুরিয়া-কাজিরহাট নৌপথের সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশুগঞ্জ ভৈরববাজারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে বৈরী আবহাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখাতে বলা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।