ইসলাম ধর্মে যেকোনো ধরনের অত্যাচার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ হারাম হিসেবে বিবেচিত। শুধু অত্যাচার করা নয়, অত্যাচারীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা বা তাদের সহযোগিতা করাও ইসলামে নিষিদ্ধ। মানুষের ওপর জুলুম এমন এক গোনাহ, যার শাস্তি কেবল আখেরাতে নয়, দুনিয়াতেও কোনো না কোনোভাবে পেতে হয়। এমনকি, পশু-পাখি বা কোনো প্রাণীর ওপর অত্যাচার করাও হারাম।
কোরআন ও হাদিসে অত্যাচারের বিষয়ে স্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কোরআনের সূরা ইবরাহিমে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, অত্যাচারীদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহ উদাসীন নন, বরং তিনি তাদেরকে নির্দিষ্ট এক দিনের জন্য অবকাশ দেন। সেদিন চক্ষু বিস্ফোরিত হবে, এবং তারা পলায়ন করবে, কিন্তু রেহাই পাবে না।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারীকে দীর্ঘ সময় দেন, কিন্তু যখন তিনি পাকড়াও করেন তখন আর রেহাই দেন না। তাই, যারা অত্যাচারে লিপ্ত রয়েছে, তাদের এখনই তা থেকে মুক্তি নিয়ে মাফ চাওয়া উচিত, কারণ কিয়ামতের দিন মাফ পেতে আর সুযোগ থাকবে না।
অত্যাচার থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে ধর্মীয় চিন্তাবিদ হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী বলেন, লোভ, হিংসা, বিদ্বেষ থেকে দূরে থেকে পরোপকারমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা উচিত। হালাল উপার্জনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করা এবং ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করে তা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী হই, তাহলে অত্যাচার এবং জুলুম থেকে দূরে থাকা আমাদের জন্য অপরিহার্য। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই পথ থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক: হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও কলামিস্ট, সাবেক ইমাম ও খতিব, কদমতলী মাজার জামে মসজিদ, সিলেট।