বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধীনে ঘটে যাওয়া অনিয়ম চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, অনিয়ম চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট সুপারিশগুলো উপদেষ্টামণ্ডলীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে সেগুলো চিহ্নিত করব এবং ভালো কিছু থাকলে সেগুলোকেও তুলে ধরব। নির্বাচনী প্রক্রিয়া এক দিনের নয়, এটি একটি সাইকেল, যার প্রতিটি ধাপ পর্যালোচনা করে আমরা সুপারিশ করব।
তিনি আরও জানান, কমিশন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সাব-ডোমেইন হিসেবে থাকবে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তা চালু হবে। এ ওয়েবসাইটে জনগণের মতামত, প্রস্তাব এবং সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ফেসবুক পেজ ও ইমেইলের মাধ্যমেও মতামত সংগ্রহ করা হবে।
বদিউল আলম বলেন, আমরা নির্বাচন আইন-কানুন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করছি, যাতে সুনির্দিষ্টভাবে সংস্কারের সুপারিশ করতে পারি। তিনি জানান, “গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)” জাতীয় নির্বাচনের মাদার অব ল’ হিসেবে গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন, ভোটার তালিকা আইন, ইসি সচিবালয় আইন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইনও পর্যালোচনার আওতায় থাকবে।
‘না’ ভোট প্রসঙ্গে ড. বদিউল আলম বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে উন্মুক্তভাবে মতামত গ্রহণ করব। আমাদের লক্ষ্য হলো এমন সুপারিশ তৈরি করা, যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।
স্থানীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্ত, সংস্কার কমিশনের এখতিয়ার নয়।