দুর্গোৎসব উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য সরকারের অনুমোদন ছিল ২,৪২০ মেট্রিক টন, তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ১৭ দিনে মাত্র ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ইলিশ সংকট ও দাম বৃদ্ধির কারণে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি।
ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়, যার মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন এবং একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত মোট ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে, যার মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১,৬৯৯ টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১,২৩০ টন, এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১,৩৯১ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। এ বছর রপ্তানির অনুমোদিত ২,৪২০ মেট্রিক টনের মধ্যে ৫৩৩ মেট্রিক টন রপ্তানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পূজার ছুটির মধ্যেও বিশেষ ব্যবস্থায় ইলিশ রপ্তানি চালু ছিল। আজ রপ্তানির শেষ দিনে আরও ৩৬ টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হতে পারে।
অন্যদিকে, শনিবার মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, মজুত, সংরক্ষণ ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এ বছর ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ গড়ে প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,১৮০ টাকা। দেশের বাজারে অবশ্য ইলিশ আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।