গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় লেবাননে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১,৬৪৫ জন। এছাড়া, গত এক বছরে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,২২৫ জনে। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বিশেষত, গত সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল লেবাননে তাদের হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।

শনিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের প্রধান শহর নাবাতিয়েহর একটি বাণিজ্যিক এলাকার সড়কে বোমা হামলা চালায়, যেখানে অন্তত ৮ জন আহত হন। এর আগের রাতে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, মাত্র দুই দিনের মধ্যে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে তাদের পঞ্চম শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের বেকা উপত্যকায়ও হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর আগে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের ২২টি গ্রামের বাসিন্দাদের উত্তর দিকে সরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের হাফিয়ার কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেখানে ৩৫টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা হয়। তবে ইসরায়েল দাবি করে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অধিকাংশ প্রজেক্টাইল প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। কিছু প্রজেক্টাইল কৃষি জমিতে পড়ে, যার ফলে আগুন ধরে যায়।

এদিকে, ইসরায়েলের গাজায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সামরিক অবরোধের নবম দিনে, শুধু উত্তর গাজায়ই কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে একটি নজিরবিহীন হামলা চালায়, যার জবাবে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৪২,১৭৫ জন নিহত এবং ৯৮,৩৩৬ জন আহত হয়েছেন।