বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা, যা পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত, সেখানে দুর্নীতি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার আনসার কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে আনসার নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থেকে অভিযোগ করেন যে, আনসার নিয়োগের জন্য তাদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ঘুষ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। যারা এই অর্থ প্রদান করতে সক্ষম হন, তাদেরই নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিশেষ করে পূজার সময়কালে ডিউটিতে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে গইলা ইউনিয়নের আনসার কমান্ডারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, গইলা ইউনিয়নের আনসার কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যান্য ইউনিয়নের আনসার কমান্ডাররাও এই ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। শাহাদাত, জসীম, রবিউল নামের আনসার কমান্ডারদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে, এবং তারা নানাভাবে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা আনসার অফিসও তাদের এ কার্যকলাপে সহায়তা করে আসছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আনসার কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি এই ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত নই, তবে আমাকে এর সাথে জড়ানো হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “প্রতিবারই আনসার নিয়োগ নিয়ে এমন অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিকদের আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, জেলা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে, এবং তারা আমাকে বলেছেন যে এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আপনারা যা পারেন লিখে দেন।”
আনসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ বাণিজ্যের এই অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।