ঢাকা, শনিবার, ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, সন্ধ্যা ৬:৩৭
বাংলা বাংলা English English

শনিবার, ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমারী পূজায় দেবী দুর্গার বন্দনা, আজ মহানবমী উদযাপন


ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২৪: শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীর দিনে শুক্রবার সারা দেশে কুমারী পূজা উদযাপিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজা দেখতে ভক্তদের ঢল নেমেছিল। আজ শনিবার মহা নবমী পালিত হবে, যেখানে পূজামণ্ডপগুলোতে বিদায়ের সুর বাজবে। রোববার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব।

কুমারী পূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে পূজার্চনা ও আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। শুক্রবার সকালে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত কুমারী পূজা দেখতে হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হন। সকাল সাড়ে ১০টায় পূজা শুরু হলে ভক্তরা উলুধ্বনি দিয়ে কুমারী মায়ের বন্দনা করেন। ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি এবং শারদীয় উৎসবের আমেজে পুরো মিশন প্রাঙ্গণ মেতে ওঠে।

মহাষ্টমীতে দেশজুড়ে সুগন্ধি চন্দন, পুষ্পমালা ও ধূপদীপের সমারোহে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। গঙ্গাজল ও পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে পূজার আচার সম্পন্ন হয়। কুমারী পূজার বিশেষত্ব হলো—এক থেকে ১৬ বছর বয়সী, ঋতুমতী হয়নি এমন যে কোনো মেয়েকে কুমারীরূপে পূজা করা হয়। দেবী দুর্গার মাতৃভাব সব নারীর মধ্যে প্রতিষ্ঠা করাই এই পূজার উদ্দেশ্য।

কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ১৬টি উপকরণ দিয়ে। শুরুতে গঙ্গাজল দিয়ে কুমারী মাকে শুদ্ধ করা হয়, এরপর তার চরণযুগল ধুয়ে বিশেষ অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। শঙ্খপাত্রে গঙ্গাজল, বেলপাতা, আতপচাল, চন্দন ও পুষ্প দিয়ে অর্ঘ্য সাজানো হয় এবং দেবীর গলায় পুষ্পমাল্য পরানো হয়। অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বায়ুর মাধ্যমে কুমারী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

শাস্ত্রমতে, কোলাসুরকে বধ করার কাহিনী থেকেই কুমারী পূজার উদ্ভব। বর্ণিত আছে, কোলাসুর স্বর্গ-মর্ত্য অধিকার করে নেয়ায় বিপন্ন দেবগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবীর পুনর্জন্মে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করার পর থেকে মর্ত্যে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়।

সব খবর