ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের অলিগলিসহ হোটেল-মোটেল জোন ডুবে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কলাতলী ডলফিন মোড় থেকে শুরু হয়ে সুগন্ধা, লাবনী, বাজারঘাটা, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, বার্মিজ মার্কেট, টেকপাড়াসহ হোটেল-মোটেল জোনের কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও বা কোমর পানি। পানি ঢুকে পড়েছে মোটেল জোনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজ, কটেজ, রেস্টুরেন্টসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
এ ছাড়া সদরের ঝিলংজা, উপজেলা গেইট, বাংলাবাজার, মোক্তারকুল, ডিককুল এবং পিএমখালীর নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি, খুনিয়া পালং, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং, জালিয়া পালং, রত্না পালং, রাজাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ফসল ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তীব্র ঝোড়ো বাতাসে নষ্ট হয়ে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি। গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাও পুরোপুরি বিধ্বস্ত। পুকুর ও প্রজেক্ট ডুবে হয়েছে অপূরণীয় ক্ষতি।
সব শেষ পাওয়া তথ্যমতে, জেলার উপকূলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি। তবে দুর্গত এলাকার মানুষ সেই অর্থে দৃশ্যমান কোন সাহায্য-সহযোগিতা পাননি।
এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের শঙ্কা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে শুক্রবার ভোররাতে কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড়ধসের পৃথক ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।