ঢাকা, বুধবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, দুপুর ১২:৪৭
বাংলা বাংলা English English

বুধবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে মিয়ানমার জলসীমায় প্রবেশ করে জেলেদের আটক ও গুলির ঘটনা: কোস্টগার্ডের ব্যাখ্যা


কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলবশত মিয়ানমার জলসীমায় প্রবেশ করায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও তাদের ছয়টি ট্রলার আটক করেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমারের একটি টহলরত স্পিড বোট থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে, এতে তিনজন জেলে গুলিবিদ্ধ হন এবং একজনের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ৬ অক্টোবর টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ জেটি থেকে ছয়টি ট্রলারে ৫৮ জন জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে রওনা হন। ৯ অক্টোবর সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় তারা ভুল করে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়ে। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি স্পিড বোট থেকে ট্রলারগুলো লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়, এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন এবং একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ক্যাপ্টেন জহিরুল হক আরও জানান, মিয়ানমার নৌবাহিনী অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ট্রলারসহ জেলেদের আটক করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে বঙ্গোপসাগরে টহলরত কোস্টগার্ডের জাহাজ বিসিজিএস তাজউদ্দিন মিয়ানমার নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে ১১ অক্টোবর বিকেলে জেলেসহ ট্রলারগুলো তাজউদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং আহত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “সীমান্তের কাছাকাছি এ ধরনের গুলিবর্ষণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি এবং শিগগিরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হবে।”

প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীর শিল এলাকায় বাংলাদেশি ট্রলারে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মো. ওসমান নামে এক জেলে নিহত হন এবং তিনজন আহত হন। মিয়ানমার নৌবাহিনী ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ চারটি ট্রলার অপহরণ করলেও পরে জেলেদের মুক্তি দেয়।

সব খবর