১০ অক্টোবর, ২০২৪: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনে তার প্রেস উইং থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ‘রিসেট বাটন’ কথাটি ব্যবহার করে দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতির অবসান এবং নতুন করে শুরু করার আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, এই রাজনীতি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে এবং কোটি কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে। ইউনূস স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে তিনি বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ‘রিসেট বাটন’ শব্দটি ব্যবহার করেন, যা পরে কিছু মহলে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বোঝানো হয়েছে যে, যখন কেউ একটি ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে সেটি চালু করেন, কিন্তু হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
অধ্যাপক ইউনূস ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, “জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা, প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে অর্জিত।”
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ইউনূস ১৯৭১ সালে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর তিনি বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি গঠন করেন এবং মার্কিন সরকারের কাছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেন। তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে বাংলাদেশ নিউজলেটারও প্রকাশ করেন।