ঢাকা, শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ২:৫৬
বাংলা বাংলা English English

শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে টুকরো করে ইলিশ বিক্রি: সাধ্যের মধ্যে ইলিশের স্বাদ


রাজশাহীতে ইলিশ মাছ এখন থেকে কেটে পিস আকারে বিক্রি করা হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষও তাদের সাধ্যের মধ্যে ইলিশের স্বাদ নিতে পারেন। চড়া দামের কারণে আস্ত ইলিশ কেনা সাধারণ মানুষের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল, আর এই উদ্যোগে ক্রেতারা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ইলিশের পিস কিনতে পারছেন। এক কেজি সাইজের ইলিশের একটি পিস (প্রায় ১০০ গ্রাম) পাওয়া যাচ্ছে ২০০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর সাহেববাজার মাছপট্টিতে ইলিশ মাছ কেটে পিস হিসেবে বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা। উদ্বোধনের সময় নেতারা ব্যবসায়ীদের ইলিশ কেটে বিক্রির জন্য অনুরোধ জানান।

রাজশাহীর বাজারে বর্তমানে ৬০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ২,২০০ টাকায়। এত চড়া দাম হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তাদের কথা মাথায় রেখে কাটা ইলিশ বিক্রির এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক বিক্রেতা জানান, এক কেজি সাইজের ইলিশের প্রতি ২৫০ গ্রাম পিস ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা ইলিশের পছন্দমতো অংশ—মাথা, লেজসহ বিভিন্ন অংশ পেয়ে যাচ্ছেন, যা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্য লাভজনক।

ক্রেতারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। সাইফুল নামের এক ক্রেতা বলেন, “এখন সব শ্রেণির মানুষ অল্প পরিমাণ হলেও ইলিশ কিনে খেতে পারবে। এ ধরনের উদ্যোগ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। যারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই।”

তবে কিছু ক্রেতা ইলিশের মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মনে করেন, সিন্ডিকেটের কারণে ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তাদের দাবি, যদি ইলিশ সরাসরি জেলেদের কাছ থেকে কেনা যেত, তাহলে কেজিপ্রতি ৭০০-৮০০ টাকায় ইলিশ পাওয়া যেত, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকত।

রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, “আজ থেকে রাজশাহীর সাহেববাজারে ক্রেতারা কাটা ইলিশ কিনতে পারবেন। সামর্থ্য অনুযায়ী যার যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু ইলিশ কিনতে পারবেন। ১০০, ২০০ বা ২৫০ গ্রাম ইলিশও কিনতে পারবেন।”

তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো বিক্রেতা ইলিশ কেটে বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।”

এ উদ্যোগের ফলে ইলিশের স্বাদ সাধারণ মানুষের নাগালে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সব খবর