কাউখালীতে আল আমিন শিকদার রনি ও ফাতেমা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার পুরাতন সিনেমা হলের পাশে বসবাসরত মরহুম হেমায়েত উদ্দিন শিকদারের সন্তান রনি ও লিজার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিন দিন তাদের চাঁদাবাজি এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে, ফলে সাধারণ মানুষ চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষেরা তাদের অত্যাচারে ভোগান্তির শিকার।
আগের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাদের অত্যাচারের মাত্রা আরও বেশি ছিল। বিভিন্ন মানুষের জমি বিক্রির পর তারা টাকা আদায় করত, আর টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা এবং ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হুমকি দিত। সাংবাদিকদের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করাই যেন তাদের পেশায় পরিণত হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুধু এলাকাবাসী নয়, পুরো উপজেলাবাসীকেও অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
এছাড়া, জমি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিভিন্ন দালালি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগও তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে। মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্যদের হয়রানি করাই তাদের নিয়মিত কার্যকলাপ। বিশেষ করে বর্তমান বিএনপির নাম ব্যবহার করে তারা তাদের চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতি বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে।
স্থানীয় মেয়েদের বিয়ের প্রস্তাব এলেই তারা বরপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং একাধিক পরিবারের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলছেন, এই ভাই-বোন এবং তাদের সহযোগী সাবেক মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আলী দিনের পর দিন মানুষকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা সনদ আনতে গেলেও তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়, না দিলে ভুয়া সনদ তৈরি করে দেয়।
বিভিন্ন ব্যক্তি গণমাধ্যমে জানান, এই চক্র এতটাই প্রতারণায় লিপ্ত যে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও নিরব ভূমিকা পালন করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও তাদের চাঁদাবাজির ব্যাপকতা ছিল, এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে তারা এই কার্যক্রম আরও বৃদ্ধি করেছে। কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।