ঢাকা, শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ১:৪৭
বাংলা বাংলা English English

শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তজুমদ্দিনে নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয় : যেন ধানমন্ডি ৩২নম্বর


ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গত ৫আগষ্ট সরকার পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সব জায়গায় শেখ মুজিবর রহমানসহ তার পরিবারে ছবি অপসারণ করা হলেও ভোলার তজুমদ্দিনে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নয় যেন ধানমন্ডি ৩২নম্বর। স্কুলের দেয়ালসহ বঙ্গবন্ধু কর্ণারের ভিতরে এমন ছবি দিয়ে সাজসজ্জা করে রাখায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ২২নং চাঁদপুর নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ও একটি কক্ষকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধ কর্ণারের নামে শেখ পরিবারের শত শত ছবি লাগিয়ে সাজসজ্জা করে রাখা হয়েছে। অথচয় গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার সরকারে পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে সারা দেশের সকল সরকারি স্থাপনা থেকে শেখ পরিবারসহ আ’লীগের নেতাদের ছবি অপসারণ করা হলেও গত ৩ মাসে চাঁদপুর নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিনুর রহমান তার স্কুল থেকে ছবিগুলি অপসারণ করেনি অদৃশ্য কারণে। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান ঠিকমত স্কুলে আসেনা। গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০ স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বাড়ি স্কুলের কাছাকাছি হওয়ায় তিনি স্কুলে না এসে বাড়িতেই থাকেন বেশি সময়। স্কুলে সাংবাদিকেরা এসেছে শুনে সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুলে উপস্থিত হন তিনি। নুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭জন শিক্ষকের মধ্যে হাজিরা খাতায় ৩জনের স্বাক্ষর পাওয়া যায়। জানতে চাইলে তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মেহেদী হাসান মমিন বলেন, স্কুলের এসে যে দৃশ্য দেখছি তাতে এটি কি একটি সরকারি বিদ্যালয় না ধানমন্ডি ৩২ নম্বর তা বুঝার অবকাশ নেই। গত ৫আগষ্ট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হওয়ার পরও প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান কিভাবে শেখ পরিবারের শত শত ছবি সরকারি স্কুলে সজ্জিত করে রাখে এটি বুঝে আসেনা। আমরা তার এধরনের কর্মকান্ডের বিচার চাই।
প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম তাই স্কুলে আসতে বিলম্ব হয়েছে। অফিসিয়াল কাজে শিক্ষক মোতাহার হোসেন শিক্ষা অফিসে থাকেন, ১জন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে, ১ জন অসুস্থ। সরকারি কোন আদেশ না পাওয়ায় ছবিগুলি অপসারণ করিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনায়েতুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগগুলি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছবি ক্যাপশন ঃ স্কুলে লাগানো শেখ পরিবারের বিভিন্ন ছবির অংশ বিশেষ।

সব খবর