পিরোজপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের মিটার না দেখে বিল করার অভিযোগ উঠেছে। মিটার না দেখার কারণে আগস্ট মাসে অনেক গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল অতিরিক্ত হয়েছে। এভাবে বিদ্যুতের বিল দেড় গুণ থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনেকেই বিদ্যুৎ অফিসের দারস্ত হচ্ছেন। ভুতুড়ে বিলের বিষয়ে কেউ কেউ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী করছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলেন হঠাৎ করে বেশি গরম পড়ার কারণে বিল বেশি হতে পারে। কাউখালী উপজেলার ২০ হাজার ৭০০ গ্রাহক রয়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, মিটার না দেখে বিল করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কৌশলে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে বাড়তি বিল নিচ্ছে। আবার অনেক সময় মিটারে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও অটোমেটিক রিডিং উঠতে থাকে।
উপজেলার সয়না গ্রামের দেলোয়ার হোসেন নামে এক বিদ্যুৎ গ্রাহক বলেন, জুলাই মাসে তার বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ৫৮৩ টাকা অথচ আগস্ট মাসে বিল হয়েছে ১ হাজার ৭৮১ টাকা। একই গ্রামের ফিরোজ খান জানান, জুলাই মাসে তার বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ৮১০ টাকা অথচ আগস্ট মাসে বিল উঠছে ২ হাজার ৩৪৮ টাকা। ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন তিনি বিদ্যুৎ খরচ খুব কম করেন, তারপরও তার বিল হয়েছে আগস্ট মাসে ২ হাজার ২৬৮ টাকা। জুলাই মাসে তার বিল হয়েছিল ৮০৮ টাকা। এভাবেই বেশি বেশি লিখে অতিরিক্ত বিল গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা পল্লী বিদ্যুত সমিতির ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, বিল বেশি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যে গ্রাহকরা অভিযোগ করবেন তাদের বাড়িতে গিয়ে মিটার দেখে আসব এবং আগামী মাসে বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে। পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুল হক বলেন, মিটার না দেখে বিল করার কোন সুযোগ নেই। যদি কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।