৯ অক্টোবর, ২০২৪: ধর্মীয় উৎসব সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি ধর্মীয় উৎসবের নৈতিক শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আজ বুধবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিদর্শনের শুরুতে নাহিদ ইসলাম ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যান এবং সেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি দুর্গাপূজার সার্বিক ব্যবস্থাপনার খোঁজখবর নেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া তিনি আজ রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন ছিল না। এই অভ্যুত্থানে সকল ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই ঐক্য বজায় রাখতে সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
দুর্গাপূজার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে এবং কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা রমনা কালী মন্দিরে যান এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, “সকল ধর্মাবলম্বীরা যেন নির্বিঘ্নে ধর্মীয় অধিকার ও উৎসব পালন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।”
ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য বাংলাদেশে দেখতে চান না উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি পূরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। যারা সংখ্যালঘু হামলায় জড়িত তাদের বিচার করা হবে।” তিনি সুখী-সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
রমনা কালী মন্দির পরিদর্শনের পর নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপে যান এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।