আজ ৯ অক্টোবর, ২০২৪: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগে ঘুষ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে পৃথক মামলা দায়ের করেছে। মামলায় সাবেক মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন আজ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, তদন্তের ভিত্তিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তাদের ছেলে সাফি মুদ্দাসীর খান, মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খান এবং এপিএস মনির হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুদকের কর্মকর্তারা আজ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিং। তদন্তে দেখা গেছে, আসাদুজ্জামান খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ৪১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকার তথ্য ও ৩৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের তথ্য গোপন করেছেন।
এছাড়া, মন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেনের ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকার অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিলে আসাদুজ্জামান খান আত্মগোপনে চলে যান। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইতোমধ্যে সাবেক মন্ত্রী, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত করেছে।