কাঁঠালিয়া উপজেলায় পূজা মন্ডপের ডিউটিতে আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর আনসার ও ভিডিপি উপজেলা প্রশিক্ষক মো. ইস্পাকুল কবিরের দিকে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসারদের ডিউটি না দিয়ে অপ্রশিক্ষিত আনসার নিয়োগ ও উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যরা জানান, অধিকাংশ পূজা মন্ডপে অপ্রশিক্ষিত আনসারের হাতে শর্টগানের মতো ভারী অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশিক্ষণের অভাবে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
তথ্যমতে, ৪১টি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তার জন্য নিয়োগকৃত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, মো. ইস্পাকুল কবির এই ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এই উপজেলায় কর্মরত থাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনসার সদস্য জানান, গত বছর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডাররা মো. ইস্পাকুল কবিরের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং পরে তাদের বিভিন্নভাবে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া চাকরিতে বদলি থাকলেও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে তিনি দীর্ঘদিন একই জায়গায় থেকে যাচ্ছেন।
তবে আনসার ও ভিডিপি উপজেলা প্রশিক্ষক মো. ইস্পাকুল কবির অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, পূজা মন্ডপে ডিউটির জন্য যে আনসার সদস্যরা নিয়োগ পেয়েছেন, তারা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এদিকে জেলা আনসার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।