ঢাকা, শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ১:০৫
বাংলা বাংলা English English

শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাহোর পিটিআই সমাবেশে জোরালো সংঘর্ষ, এরপর সেনা মোতায়েন ও গুলি চালানোর নির্দেশ


পাঞ্জাবের লাহোরে পিটিআই সমাবেশে সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন ও গুলি চালানোর নির্দেশনা পাঞ্জাবের লাহোরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর সমাবেশে কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রদেশ সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি কমানো, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই শনিবার (৫ অক্টোবর) বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেছে, যা ১৪৪ ধারার উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারী পিটিআই কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মধ্যে জোরালো সংঘর্ষ দেখা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগ প্রদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেনা মোতায়েনের আদেশ জারি করেছে। শনিবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীর জন্য রুলস অফ এনগেজমেন্ট (ROE) নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আসন্ন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরের আশেপাশে সশস্ত্র বাহিনী, বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

এই উদ্যোগের অধীনে, সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি অনুসারে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

ডন জানিয়েছে, গত শুক্রবারের মতোই শনিবারও ইসলামাবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডিতেও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে এবং প্রধান সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভ সমাবেশ ভারতে রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি শহরে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়।

এই ঘটনার ফলে স্থানীয় জনগণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েন বেড়ে গেছে, এবং প্রাদেশিক সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সব খবর