রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার উদ্যোক্তা ইফতেখারুল হক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিনের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বায়োপ্লাস্টিক ব্যাগ উৎপাদন করে চমক সৃষ্টি করেছেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না পাওয়ার কারণে তার এই উদ্যোগের উৎপাদন কার্যক্রম থমকে রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ইফতেখারুল হক জানান, পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে এই ব্যাগ বাজারে আনতে পারলে এটি পলিথিনের কার্যকর বিকল্প হতে পারে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না পাওয়ায় পণ্যটি বাজারজাত করতে তাকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি এই ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছেন। বিভিন্ন আবেদন করার পর ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর তাকে বুয়েট থেকে ব্যাগটির পচনশীলতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয়।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, বুয়েট এ ধরনের পরীক্ষা বা ছাড়পত্র দেয় না। তবুও সবাই তাকে বুয়েট থেকে অনুমোদন নিতে বলছেন, যা তার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবশেষে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদা পারভীন বলেন, ‘আমরা তাকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছিলাম যে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদান রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য বুয়েট থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। তবে তিনি সেই ছাড়পত্র এখনও জমা দেননি, তাই আমরা অনুমোদন দিতে পারছি না।’
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) রাজশাহীর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আহসানুর রাব্বী বলেন, ‘উদ্যোক্তা ইফতেখারুল হক আমাদের কাছে নমুনা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আমাদের পক্ষে এই ছাড়পত্র দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা তাকে পচনশীলতা পরীক্ষা প্রতিবেদনের জন্য ঢাকায় যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছিলাম, তবে ঢাকার পরিস্থিতির আপডেট আমার কাছে নেই।’
রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরকার অসীম কুমার জানান, “এ ধরনের কোনো আবেদন আমরা পাইনি। যেহেতু এটি পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ এবং পলিথিনের বিকল্প, উদ্যোক্তা যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন, তাহলে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো অনুমোদন পেতে।”