লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের হামলায় ৮ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে বিবিসি ও রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইসরায়েলের আট সেনা নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ইগোজ কমান্ডো ইউনিটের সদস্যরাও ছিলেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর থেকে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। ইসরায়েল এরপর লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু প্রতিশোধ ছাড়া যাবে না। তিনি বিশ্বের মুসলিমদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। এরপর ১ অক্টোবর রাতে ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। পরের দিন সকালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর গ্লিলত ঘাঁটি ও মোসাদ হেডকোয়ার্টারে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান বড় ভুল করেছে এবং তাদের এই ভুলের মূল্য দিতে হবে। এর জবাবে ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় তাদের সমস্ত স্থাপনায় হামলা চালানো হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাসের মিত্র হিসেবে ইসরায়েলের ওপর বিভিন্ন সময়ে ছোট আকারে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে ইরানের ভূমিকার কথাও বলা হয়ে থাকে।
চলতি বছরের মে মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান, তবে অনেকের ধারণা এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। রাইসির মৃত্যুর পরই জুলাই মাসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে গুপ্ত হামলায় হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ওপর ধারাবাহিক হামলা শুরু করে।