বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক আলোচিত ইউপি সদস্য মিঠু ডি. কস্তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বসতবাড়ি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ থানার ২৩ নং তৌজির অন্তর্গত এস, ১২৮৮ নং খতিয়ানের পাদ্রীশিবপুর মৌজার জমি এবং বাড়ির মালিকানা দীর্ঘ সময় ধরে রেমন্ড মধু তার কন্যা অর্পিতা মধুকে দানপত্র দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছিলেন।
রেমন্ড মধু ১৯৮৩, ১৯৯৪, এবং ২০০৩ সালে বিভিন্ন সাব-কবলা দলিলের মাধ্যমে পাদ্রীশিবপুর মৌজার জমি ক্রয় করেন এবং পরবর্তীতে আদালতের আদেশ অনুযায়ী নামজারী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মালিকানা নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে রেমন্ড মধু তার কন্যা অর্পিতা মধুর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে ৩৪৩৭ নং দানপত্র দলিলের মাধ্যমে জমি দান করেন। অর্পিতা মধু মালিক হয়ে ২০১২ সালে নামজারী ও জমাখারিজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার নামের খতিয়ান প্রস্তুত করেন।
অর্পিতা মধু পরবর্তীতে ২০২১ সালে উক্ত খতিয়ানের জমি ও একতলা ভবন বেনেডিক রনি গোমেজ, প্রদীপ গোমেজ ও হেনরী সন্দ্বীপ গোমেজের নিকট ৪২২৩ নং দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন এবং তারা সেখানে বসবাস করতে থাকেন। তবে, সম্প্রতি সাবেক ইউপি সদস্য মিঠু ডি. কস্তা এবং তার স্ত্রী রুবি মধু সহ সন্ত্রাসীরা দখলীয় সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে জমির মালিক প্রদীপ গোমেজ জানান, তারা তিন ভাই ঢাকায় চাকরি করায় তাদের বৃদ্ধ মাতা মাধু গোমেজ উক্ত বাড়িতে একা থাকেন। মিঠু ডি. কস্তা তাদের বৃদ্ধ মাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং পুনরায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সবাইকে হত্যা করার হুমকি দেন।
মাধু গোমেজের ছোট ছেলে হেনরী সন্দ্বীপ গোমেজ জানান, তাদের মাতা এখন জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন এবং যে কোনো সময় মিঠু ও তার স্ত্রী রুবি মধু ও মাদকাসক্ত পুত্রদের হাতে হত্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।