গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাকেরগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকের বড় চালান নিয়মিত আসছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে প্রকাশ্যেই চলছে।
এ এলাকার মাদক বাণিজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য মিঠু ডি. কস্তার পুত্র ও কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা অভি ডি. কস্তা, যিনি এলাকায় মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ আছে, তিনি খোলামেলাভাবে ইয়াবা, গাঁজা এবং চোলাই মদ বিক্রি করছেন। সন্ধ্যা হলেই পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের এনে তার বাড়িতে মাদকের আসর বসানোর অভিযোগও রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণে অভি ডি. কস্তার নেতৃত্বে পাদ্রীশিবপুরে মাদকের বিস্তার দিন দিন বাড়ছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এখন পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
অপরদিকে, বাকেরগঞ্জ থানার কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলেন, মাদক প্রতিরোধ শুধু পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়, এটি সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। মাদক বন্ধ করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের এবং সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও সজাগ ভূমিকা রাখতে হবে।
একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৫ আগস্ট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে অভি ডি. কস্তা ও তার কিশোর গ্যাংবাহিনী প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাদ্রীশিবপুরের ঝাউলা সড়ক সংলগ্ন পল্লীগণ উন্নয়ন কেন্দ্রেই তাদের মাদকের আসর বসে। এখানে দূর দূরান্ত থেকে আসা মাদকসেবীরা মাদকদ্রব্য ক্রয় করে।
এলাকার সুশীল সমাজ আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, মাদকের এই ভয়াবহতা রোধ করা না গেলে এলাকার যুব ও তরুণ সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে, এবং ঐতিহ্যবাহী সেন্ট আলফ্রেড স্কুল এন্ড কলেজের ভবিষ্যৎও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।