২ অক্টোবর, ২০২৪: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সুশাসন থাকলে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে বুলেট ব্যবহার করা যায় না। তিনি অভিযোগ করেন যে, বিগত স্বৈরাচারী সরকার প্রায় সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টারসহ আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে হাসান আরিফ এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য হলো সংস্কার। যেসব প্রতিষ্ঠানে ত্রুটি রয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেগুলো সংস্কারের পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং সেসব কমিশনের প্রধান হিসেবে সমাজের বিজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের পর নাগরিক সেবায় ব্যাঘাত ঘটেছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি গা ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি অনেক ঠিকাদারও ভয়ে ও লজ্জায় সামনে আসছেন না। নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা জন্ম-মৃত্যু সনদসহ সকল নাগরিক সেবা প্রদানে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা জনগণই নির্ধারণ করবে। তবে এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যেসব দেশের বা আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক প্রকল্প চালু আছে, সেগুলো চলমান থাকবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ক্ষতি হবে না।
সভায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স হেলেন লাফেইভ, ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ এবং ইইউসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।