২ অক্টোবর, ২০২৪: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আজ সুইডেন ও আলজেরিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। পৃথক অনুষ্ঠানে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আবদেলওহাব সাইদানি এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস তাদের পরিচয়পত্র জমা দেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, রাষ্ট্রপতি নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, সুইডেন ও আলজেরিয়ার মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়।

সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুইডেন গত পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। তিনি সুইডেনের ভূমিকা প্রশংসা করে উল্লেখ করেন যে, সুইডেন দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। রাষ্ট্রপতি আরও জানান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সুনীল অর্থনীতি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল খাতে সুইডেন-বাংলাদেশ সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি সুইডেনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে সুইডেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে, আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন এবং জলবায়ু ইস্যুতে অবদান রাখবে। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি সুইডেনের মানবিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সুইডেনের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।

আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আলজেরিয়াকে বিশ্বমানের বাংলাদেশি পণ্য যেমন বস্ত্র, পাট, ওষুধ, খাদ্য এবং ইলেকট্রনিক্স আমদানি করার প্রস্তাব দেন। তিনি আরও বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধির সহায়তায় পারস্পরিক সুবিধাজনক শর্তে আলজেরিয়া থেকে এলপিজি বা এলএনজি সরবরাহের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং বাণিজ্যিক পরিধি বাড়বে।

উভয় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তাদের দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে, বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।