উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে কমিটির দায়িত্বশীল পদ থেকে বহিষ্কার করার জন্য একটি পক্ষ কৌশলে বিএনপি নেতা জাকির হোসেন শরীফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ট্রাক স্ট্যান্ড দখলের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন গৌরনদী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন শরীফ। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের স্থানীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাকির শরীফ বলেন, এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লিখিত বক্তব্যে জাকির শরীফ উল্লেখ করেন, বিভিন্ন ছদ্মনামের ফেসবুক আইডি থেকে কিছুদিন ধরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে কল্পকাহিনী পোস্ট করে দলের একটি পক্ষ সম্মানহানির চেষ্টা করছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি ঠিকানাবিহীন অনলাইন মাধ্যমে (বরিশাল.নিউজ) তার বিরুদ্ধে “গৌরনদী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাকির শরীফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, স্থানীয়রা আতঙ্কিত” শিরোনামে একটি মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে টরকী বন্দরের সুন্দরদী মহল্লার অমল পালের বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী অমল পাল জানান, ওই সংবাদে তার নাম ব্যবহার করা হলেও কোনো সাংবাদিক কখনও তার কাছে আসেননি এবং কোনো বক্তব্য নেননি। প্রকৃতপক্ষে, তার নাম ব্যবহার করে জাকির শরীফকে জড়িয়ে মিথ্যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে। অমল পাল আরও বলেন, জাকির শরীফ বা তার কোনো লোক কখনও তার কাছে চাঁদা দাবি করেনি বা তাকে মারধরও করেনি।
জাকির শরীফ আরও জানান, প্রকাশিত সংবাদে তার বিরুদ্ধে টরকী বন্দর ট্রাক স্ট্যান্ড অবৈধভাবে ইজারা ছাড়া দখল করে টাকা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ট্রাক স্ট্যান্ড ইজারা প্রসঙ্গে ফরহাদ শরীফ জানান, তারা পৌরসভার থেকে ইজারা নিয়ে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে ট্রাক স্ট্যান্ডটি পরিচালনা করছেন এবং এই বিষয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। ফরহাদ শরীফের বক্তব্য অনুযায়ী, সেখানে জাকির শরীফের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গৌরনদী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু আবদুল্লাহ খান জানান, ট্রাক স্ট্যান্ডে টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের ডেকে ইজারার কাগজপত্র যাচাই করে নতুন নিয়মে (টোল আদায়ের পরিমাণ কমিয়ে) টাকা উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে জাকির শরীফের কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।