আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ বরিশালে পৃথকভাবে দায়ের করা চারটি মামলায় ৮৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি কোতয়ালি মডেল থানায় ও একটি মামলা মেহেন্দীগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, এজাহারে বিগত ২০১৪ সালে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, বোমার বিস্ফোরণ, ব্যালটে সিল জালিয়াতিসহ নৈরাজ্যে সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছেন তৎকালীন ওই নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক মনিরুজ্জামান জামাল।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, আক্তার হোসেন আকেজ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবুয়াল হোসেন অরুণ এবং নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বর্তমানে কুমিল্লার আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদারের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি আরও জানান, মহানগর বিএনপির সাবেক সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা খান রোজী বাদি হয়ে দায়ের করা একটি মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ ২৬ জনের নামোল্লেখ করে আরও ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি, চুরি, খুন জখমের হুমকিসহ বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপর মামলার বাদি সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মিন্টু এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে তারা নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় আসেন। তখন আওয়ামী লীগের নামধারী ৩৮ জনসহ অজ্ঞাতপরিচয় দুইশ’ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি এমাদুল করিম জানান, ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, দখল ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলুসহ ৬৮ জনের নামোল্লেখ করে আরো দুইশ’ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।