সুনামগঞ্জের ছাতকে পুকুর খননের জন্য লন্ডন প্রবাসী চাচা সুন্দর আলী প্রকাশিত শরিফ উদ্দিনের দেওয়া ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা রহিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দোলারবাজার ইউনিয়নের জাহিদপুর গ্রামের মৃত ইয়ারিছ আলীর ছেলে সুন্দর আলী প্রকাশিত শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের ছাতক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন (সি আর মোং নং – ৪৯৮/২০২৪)। মামলায় একই গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে রহিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুন্দর আলী প্রকাশিত শরিফ উদ্দিন ও রহিম উদ্দিন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। সুন্দর আলী প্রকাশিত শরিফ উদ্দিন ভাতিজা রহিম উদ্দিনকে বিশ্বাস করে পুকুর খননের জন্য ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেন, যাতে তিনি মাছ চাষ করতে পারেন। এর কিছুদিন পর সুন্দর আলী লন্ডনে চলে যান। তবে ছয় মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও রহিম উদ্দিন পুকুর খননের কোনো কাজ শুরু করেননি বা কোনো উদ্যোগও নেননি। সুন্দর আলী লন্ডন থেকে আসা-যাওয়ার সময় রহিম উদ্দিনকে কাজের তাগিদ দিলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। প্রবাসে থাকার সুযোগে রহিম উদ্দিন বছরের পর বছর ধরে কাজ না করে সময় পার করে দেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় যে, গত ২০ আগস্ট জাহিদপুর গ্রামের বাড়িতে সালিশের মাধ্যমে টাকা ফেরত চাইলে রহিম উদ্দিন টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং সুন্দর আলীকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। রহিম উদ্দিন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না করে এবং টাকাও ফেরত না দিয়ে উক্ত ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেন এবং নিজের কাজে ব্যবহার করেন, যা চাচার সঙ্গে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের শামিল।
এছাড়া, গত ১১ সেপ্টেম্বর জালিয়াতির অভিযোগে সুনামগঞ্জের ছাতক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয় (সি আর মোং নং – ৪৭৯/২০২৪)। এ মামলায়ও রহিম উদ্দিনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুন্দর আলী প্রকাশিত শরিফ উদ্দিন পৃথক দুটি মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।