পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আমদানি করা পণ্যগুলোর ওপর থেকে লাল তালিকার সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পাকিস্তান থেকে আসা অধিকাংশ পণ্যকে ‘লাল তালিকাভুক্ত’ করেছিল।
বুধবার (২ অক্টোবর) এনবিআরের একটি আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির ‘রেড লেন’ থেকে মুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলো ন্যাশনাল সিলেকটিভিটি ক্রাইটেরিয়ায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, মাদকদ্রব্যসহ নিষিদ্ধ পণ্যে কঠোরতা বজায় রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি ও খালাসের ক্ষেত্রে সহজীকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআর। ফলে উৎপাদনমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে কোনো ধরনের জটিলতা হবে না। পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যের চালানগুলোর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা পাওয়া না যাওয়ায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্যের চালানকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঝুঁকি বিবেচনায় কাস্টমস হাউজগুলো সময় মতো পণ্যভিত্তিক রিস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি দুই দেশের স্তিমিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃজাগরণের আহ্বান জানান। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের বাণিজ্য সীমিত হয়ে ছিল। পাকিস্তান আবারও বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে।