১ অক্টোবর, ২০২৪: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রমাদান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব” এবং আশা প্রকাশ করেন যে ফিলিস্তিন তাদের কাক্সিক্ষত স্বাধীন রাষ্ট্র লাভ করবে।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় চলমান গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, “বক্তব্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং এটি ফিলিস্তিনি ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাত করেছে। আপনি সেখানে সঠিক কথাটি স্পষ্টভাবে বলেছেন।”
তিনি জানান, বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় ৬০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসক বর্তমানে গাজায় রোগীদের সেবা দিচ্ছেন এবং আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন।
২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ফিলিস্তিনি জনগণকে বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে সেখানে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং যারা ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ও নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি কেবল আরব বা মুসলিম নয়, বরং সমগ্র মানবতাকেই বিচলিত করা উচিত। ফিলিস্তিনি মানুষের জীবন ফেলনা নয়, এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ অবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র উপায় হিসেবে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।