আজ ১ অক্টোবর, ২০২৪: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, পোশাক শিল্পে চলমান অস্থিরতা মূলত পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী মালিকদের পরিকল্পিত চক্রান্ত। মঙ্গলবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি আশুলিয়ায় গার্মেন্টস অস্থিরতা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “আমরা দেখছি, গতকাল গার্মেন্টস শিল্পে একটি গন্ডগোল হয়েছে, যেগুলোর মালিক শেখ হাসিনার অত্যন্ত সুবিধাভোগী। তাদের গার্মেন্টসের লোকজন এসে বিএনপি সমর্থিত বা নিরপেক্ষ অন্যান্য গার্মেন্টসে হামলা করেছে। আমরা তথ্য নিয়ে বলছি, এই চক্রান্তের পেছনে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা জড়িত।”
তিনি আরও বলেন, “এই ষড়যন্ত্র শুধু গার্মেন্টসেই সীমাবদ্ধ নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামেও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বড় ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রকৃত স্বৈরাচারের দুষ্ট চক্র প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় সুতার টান দিচ্ছে এবং একটার পর একটা ঘটনা ঘটাচ্ছে।”
রিজভী উল্লেখ করেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবাই সমর্থন করেছে, যা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফসল। কিন্তু যারা অতীতে নিপীড়নের কেন্দ্র তৈরি করেছিল, সেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়ররা এখনো রয়ে গেছে। তাদের বাতিল না করলে সেই গুণ্ডা-পান্ডা-সন্ত্রাসীরা আবারো বর্বরোচিত ঘটনা ঘটানোর সুযোগ পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার অনুচরেরা ঘাপটি মেরে আছে এবং তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, প্রশাসন ও গণতান্ত্রিক শক্তির কাজ ব্যাহত করতে গোপনে চক্রান্ত করছে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান, সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন এবং সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম রবি। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে রিজভী আহমেদ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময়ে ঢাকা-১০ আসনে আহত রিকশাচালক সাইদুল ইসলামকে একটি ব্যাটারি চালিত নতুন অটোরিকশার চাবি ও কাগজপত্র তুলে দেন।