বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি শেষ সময়ে পৌঁছেছে, যেখানে এ বছর মোট ১৬২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজামণ্ডপ এবারও আগৈলঝাড়া উপজেলায়। সরকারি হিসাবে এ বছর ১৬২টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা এবং বাকি ছয়টি মণ্ডপে বাসন্তী পূজা ও তিনটি মণ্ডপে জগদ্ধাত্রী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, প্রতি পূজামণ্ডপের জন্য সরকার পাঁচশ কেজি করে চাল বরাদ্দ প্রদান করেছে। এই চাল মণ্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনুকূলে ডিও লেটার দেওয়া হবে।
উপজেলার শিহিপাশা গ্রামের মৃৎশিল্পী শিব শংকর পাল, সুদেব পাল, জয়দেব পাল, সঞ্জয় পালসহ অন্যান্য শিল্পীরা জানান, প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিমার আকার ও আয়তন ঠিক রেখেই দো-মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রতিমার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য রঙের কাজ চলছে। পাশাপাশি প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার কাজও চলছে।
বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ আলম জানান, বরিশাল বিভাগে এ বছর মোট ১৫৯৫টি পূজামণ্ডপ রয়েছে, যার মধ্যে স্থায়ী পূজামণ্ডপ ১৩৪২টি এবং অস্থায়ী পূজামণ্ডপ ২৫৩টি। এছাড়া ছয়টি বিরোধপূর্ণ, ৪৯২টি অধিক গুরুত্বপূর্ন, ৬১২টি গুরুত্বপূর্ন এবং ৪৯১টি সাধারণ পূজামণ্ডপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে পালনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
পঞ্জিকা মতে, ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীর আগমনী বার্তা শুরু হবে। ৮ অক্টোবর দেবীর বোধন, ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজা, ১১ অক্টোবর মহাঅষ্টমী পূজা এবং ১২ অক্টোবর মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়া দশমীর দিন রাতে দশমী বিহিত পূজার সমাপনান্তে দেবী বিসর্জনের মাধ্যমে পূজা শেষ হবে।