দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন যে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দুদককে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, এবং সিঙ্গাপুরে মানিলন্ডারিং বেশি হয়। পাচার হওয়া অর্থের তথ্য চেয়ে দুদক ৭১টি চিঠি পাঠালেও মাত্র ২৭টির জবাব পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও জানান, “অর্থপাচার রোধসহ যেকোনো ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রতিনিধি দল দুদককে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুদক কীভাবে সহযোগিতা পেতে পারে, তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।”
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন মিশেল ক্রেজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার অব ইনক্লুসিভ গভর্নেন্স পাবলো পাদিন পেরেজ, নাদের তানজা, এবং কিশোয়ার আমিন।
এরই মধ্যে হাসিনা সরকারের আমলে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরাতে দুদক তৎপরতা শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থাটি এফবিআই, বিশ্বব্যাংক, এবং জাতিসংঘের ইউএনওডিসি’র সঙ্গে বৈঠক করেছে।