দখলদার ইসরায়েল বৈরুতসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার পর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর এবার লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলি মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি ট্যাংক ও সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছে এবং পাশাপাশি বিমান হামলাও অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সেনারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যস্থল ও অবকাঠামোর বিরুদ্ধে ‘সীমিত, স্থানীয় ও লক্ষ্যভেধী স্থল হামলা’ শুরু করেছে। ব্লু লাইনের কাছে অবস্থিত এসব অবকাঠামোকে ইসরায়েলি শহরগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার রাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ লেবাননে স্থল হামলার অনুমোদন দেয়। তখন জানানো হয়, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থল হামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে ইসরায়েলি বাহিনী দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক বিমান ও কামান হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছিল, এই হামলাগুলো মূলত স্থল সেনাদের লেবাননে প্রবেশের জন্য ব্যবস্থা করতে চালানো হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ লেবাননে সীমিত ও স্বল্পমেয়াদী স্থল হামলার অনুমোদন দিয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাদের উত্তর লেবানন দখল করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
লেবাননে ইসরায়েলের নতুন স্থল অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দান অ্যারোস’। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযানটি স্থল, আকাশ এবং কামান বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে।