নেপালে ভারী বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত অবস্থা বিরাজ করছে, এবং প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ১৯৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। রোববারও বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, যা এই বিপর্যয়ের ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
পাহাড় ধসের কারণে অনেক সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে আটকা পড়েছে বহু যানবাহন। উদ্ধারকারী দল নিরলসভাবে আটকে পড়া গাড়িগুলো উদ্ধারে কাজ করছে।
বন্যার কারণে নেপালে স্কুল-কলেজ তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতকে এই বন্যার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন নেপালের আবহাওয়াবিদরা। গবেষকরা বলছেন, রাজধানী কাঠমান্ডু অর্ধশতাব্দীর মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখী হয়নি।
এদিকে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় বিহার রাজ্যেও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে বহু ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে, যা বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে। পরিস্থিতির কারণে ইতোমধ্যে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।