২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে প্রাণভয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৩ সদস্যকে সে দেশের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ কক্সবাজারে বিজিবির রিজিয়ন সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, এদিন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৩ জন সদস্যকে বিজিপি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর মোট ৮৭৫ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। এর মধ্যে, ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তিন ধাপে ৭৫২ জন সদস্যকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কক্সবাজারের টেকনাফ-নাজিরপাড়া-সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপ এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা সরকার ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের প্রকটতার কারণে গত ১১ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৪ জন সদস্য (বিজিপি-১০৯ এবং সেনাবাহিনী-১৫) প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং বিজিবির কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে।
বিজিবি তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করে এবং বাসস্থান, খাবার, পোশাক ও চিকিৎসাসেবা সহ যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আশ্রয় গ্রহণকারী সদস্যদের মধ্যে একজন বিজিপি সদস্য (এলএ-২৪৯২৪৫, পুলিশ ল্যান্স কর্পোরাল জাউ নন্দা, ৪ বিজিপি ব্রাঞ্চ) গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্রনিক লিভার সমস্যা ও সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
উক্ত বিজিপি সদস্যের মৃতদেহ ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ মর্যাদায় এবং যথাযথ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণপূর্বক রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার শ্মশান ঘাটে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।