ঢাকা, সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, সন্ধ্যা ৬:৩৯
বাংলা বাংলা English English

সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিশুদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন


ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অভিযোগ করেছে যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাষ্ট্র শিশুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কমিশন মনে করে, আন্দোলন চলাকালীন শিশুদের মৃত্যুর ঘটনাগুলো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিলো সকল নাগরিক, বিশেষ করে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যা যথাযথভাবে করা সম্ভব হয়নি।

আজ রোববার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে শিশু অধিকার ও শিশুশ্রম বিষয়ক থিমেটিক কমিটির সভায় এসব বক্তব্য উঠে আসে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহত শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম নিরসন, আইনি কাঠামো শক্তিশালীকরণ, এবং শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় আন্দোলনের সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুর প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করা হয়। উপস্থিত সবাই নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। আলোচনা থেকে প্রস্তাবনা উঠে আসে যে, নিহত শিশুদের ন্যায়বিচার, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও সার্বিক সহায়তা প্রদান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি বোর্ড গঠন করা প্রয়োজন।

শিশুদের অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ পরিবেশে তাদের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা এবং শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করা হয় সভায়। রাজনৈতিক মিটিং, মিছিল ও নির্বাচনী প্রচারণায় শিশুদের ব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার ছাড়াও বাস্তবে এই প্রতিশ্রুতিগুলোর কার্যকর প্রয়োগ দেখতে চায় কমিশন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় শিশুর মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে শিশু সুরক্ষায় সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন তিনি।

আহত শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান এবং নিহতদের পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগত বিবরণসহ একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সম্মানিত সদস্য ড. তানিয়া হক। উপস্থিত ছিলেন সদস্য কংজরী চৌধুরী, একশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, প্লান ইন্টারন্যাশনাল, সেইভ দ্য চিলড্রেন এবং ইনসিডিন বাংলাদেশের প্রতিনিধি, শিশু প্রতিনিধি এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।

সব খবর