বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে।
তদন্তের আওতায় ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের স্ত্রী অধ্যাপক ডা. নাফিজা আহমেদ এবং তাদের তিন সন্তান তাজবীর আহমেদ, তানবীর আহমেদ ও তাহমিদ আহমেদ সাদাত রয়েছেন। তাদের নামে থাকা চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআর, মেয়াদি আমানত, লকার, সঞ্চয়পত্র, ঋণ হিসাব, ডিপিএস বা অন্য যে কোনো প্রকারের হিসাবের লেনদেন বিবরণী ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৯ আগস্ট দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, বিএসএমএমইউর সাবেক ভিসি ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং তার পিএস ডা. রাসেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, ১০০ কোটি টাকা ঘুষ আদায়, অবৈধ পদোন্নতি, স্বজনপ্রীতি, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ ২০২১ সালের ২৯ মার্চ বিএসএমএমইউর একাদশ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ দায়িত্ব ত্যাগ করেন। অভিযোগকারীরা দাবি করেছেন, এই সময়ে তিনি দুই হাজারের বেশি নিয়োগ প্রদান করেছেন, যা নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে অভিযোগ।