বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে পুলিশ হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল উদ্ধার করেছে। গত শনিবার রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মতাসা এলাকায় হাফেজ জসিম উদ্দিনের বাসা থেকে এ চাল উদ্ধার হয়।
ডিলার রাসেল সিকদারের খোঁজ মিলছে না ঘটনার পর থেকে, এমনকি তার মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। তার স্ত্রী সাদিয়া ইসলাম জানান, দোকানের ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় চাল নষ্ট হওয়ার ভয়ে তা হাফেজ জসিম উদ্দিনের বাসায় রাখা হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন তালুকদার অভিযোগ করেন, রাসেল সিকদার ওই চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে রেখেছিলেন। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এবং পরবর্তীতে পুলিশ চালগুলো উদ্ধার করে।
বাবুল হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার ও মামুন জানান, রাসেল সিকদার পূর্বেও বিভিন্ন সময় ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছেন।
রাসেল সিকদারের স্ত্রী সাদিয়া ইসলাম পাল্টা দাবি করেন যে, উদ্ধার হওয়া ১৯ বস্তা চাল লুট করে নেওয়া হয়েছে এবং বাকি চালের বস্তার হদিস মিলছে না। তিনি বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে চাল ও আটা ক্রয় করে গরিবদের সরকারি মূল্যে বিক্রি করে আসছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে শনিবার রাতে তথ্য পেয়ে রোববার সকালে ঘটনাস্থলে যান ট্যাক অফিসার হুমায়ুন কবির এবং ফুট অফিসার আবু সাইদ। তারা বলেন, নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রির জন্য বরাদ্দকৃত চাল কিনতে আসা দুলাল হোসেন জানান, দোকানে তালা মারা এবং চাউল শেষ বলা হচ্ছে।
এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত চাল ডিলারের দোকানের মালিক কামাল তালুকদারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়েশা আক্তার দিলরুবা বলেন, তদন্তের পর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।