কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে মোঃ আবুল হোসেন ব্যাপারীসহ আর ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে। এসময় ওই ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করাও হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সংলগ্ন বিজিবি ক্যাম্পের মোড়ে। টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেছেন ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন। এর আগে ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সোনাহাট স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী আমদানী ও রপ্তানী কারক মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধীকারী মোঃ আমিনুল ইসলাম সোনাহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন । এসময় তুহিন (১৬), তুষার (১৮), সাগর (২০), আশিক (২২), ডিক্সকভারি ফারুক (২৩), এরশাদুল (২৫) সহ আরোও ৫/৬জন ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের পথরোধ করে লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমিনুলের মাথায় ও তল পেঠে এলো পাথারী মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। পরে একটি মোটর সাইকেলসহ ৭,১৪,০০০/- (সাত লক্ষ চৌদ্দ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমিনুল ইসলাম মন্ডল জামান বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমি সোনালী ব্যাংক ভুরুঙ্গামারী শাখা থেকে উত্তোলনকৃত ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা এবং ভ্যাট ট্যাক্স এর জন্য ৪,১৪,০০০/- (চার লক্ষ চৌদ্দ হাজার) টাকা সহ মোট ৭,১৪,০০০/- টাকা এবং সিএন্ডএফ এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী যাচ্ছিলাম। বাড়ীর যাওয়ার পথে ক্যাম্পের মোড়ে মিজুর বাড়ীর সামনে তারা আমাকে মোটরসাইকেলের পথরোধ করে মোট ৭,১৪,০০০/- টাকা এবং মোটর সাইকেলসহ জরুরী কিছু কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এব্যাপারে ভূরুঙ্গামী থানায় মামলা করতে চাইলে তারা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
সোনাহাট স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী কবির হোসেন, শাহাজাহান, মমিনুল, ফারুক ও মনজুরুল জানান, আমরা বিষয়টি অবগত আছি। ২ বছর আগের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা জেনেছি এবং আপোষের জন্য একাধিকবার মিটিং হয়েছে।
ফারুক হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ঘটনাটি জানার পর আমি সেখানে ছুটে গিয়ে আহত অবস্থায় আমিনুল ইসলাম মন্ডলকে উদ্ধার করে প্রথমে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। তিনি এখন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
এ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সোনাহাট স্থলবন্দরের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানান এবং স্থল বন্দর এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
সোনাহাট স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, কুড়িগ্রামে ছিলাম না। বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবুল হোসেন ব্যাপারি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।আমিনুল ইসলামের কাছে যারা টাকা পায় তারাই তাকে আটক করেছে।
ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।