ঢাকা, শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি, দুপুর ২:০৫
বাংলা বাংলা English English

শনিবার, ১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তার পানি, গাইবান্ধাসহ ৫ জেলায় বন্যার শঙ্কা


আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে এই অঞ্চলের চর এবং কিছু নিম্নভূমি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটি জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টিপাত ও দেশের নদ-নদীর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও তা এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগ ও তার সংলগ্ন উজানে অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমেছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি স্তর বাড়তে পারে এবং পরবর্তী ২ দিনে এটি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং এই জেলার চরাঞ্চল ও কিছু নিম্নভূমি প্লাবিত হতে পারে। তবে পরবর্তী ২ দিনে তিস্তা নদীর পানি স্তর হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, আগামী ৩ দিন ধরে কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি স্তর বিপৎসীমার নিচে থাকবে। একই সঙ্গে রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীগুলোর পানি স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের নদীগুলোর পানি স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ২ দিনে তা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া, রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর নীচের যমুনা নদীর পানি স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আগামী একদিনে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি স্তর বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী ৪ দিন পর্যন্ত তা স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যে এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হবে।

 

সব খবর