অনলাইন ডেইলি বরিশাল সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবাদুল হক খান তুহিনকে মারধর করে ক্যামেরা এবং টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল হাসানুজ্জামান রাহাত (৩০) ও বিএনপি নেতা আরিফুর রহমানসহ ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সাংবাদিক তুহিন ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ১৭৪৮।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্বের শত্রুতার কারণে আসামীরা বাদীকে (তুহিন) কোতয়ালী থানার জি. আর ৫৫৭/২০২৪ মামলায় ৪৬ নম্বর আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। ওই মামলায় আসামী থাকার কারণে আইনগত সহায়তা নিতে ১১ সেপ্টেম্বর মাগরিবের পর আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবীর চেম্বারে যান বাদী সাংবাদিক তুহিন। সেখান থেকে বের হয়ে ১ নম্বর সাক্ষীকে সাথে নিয়ে বাড়ির পথে আসার সময় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের চারতলা ভবনের সামনে পৌঁছালে আসামিরা বাদী ও সাক্ষীদের পথরোধ করে। এ সময় ১ নম্বর আসামী বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে চোখ ও মুখে বেধড়ক মারধর করে। ২ নম্বর আসামী বাদীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সকল আসামী বাদীকে এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে ফাটা জখম করে। এসময় ১ নম্বর আসামী ঢাকায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল হাসানুজ্জামান রাহাত বাদীর সাথে থাকা ৬০ হাজার টাকার একটি ক্যামেরা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। ২ নম্বর আসামী চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান বাদীর সাথে থাকা ৪ নম্বর সাক্ষীর নিকট থেকে ব্যক্তিগত কাজে আনা ২ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে। এরপর ১ নম্বর আসামী বাদীকে মারতে মারতে জোরপূর্বক ২ নম্বর আসামির মোটরসাইকেলে উঠিয়ে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে কোতয়ালী থানায় নিয়ে যায় এবং পুলিশে সোপর্দ করে। কোতয়ালী থানা পুলিশ বাদীকে আহত অবস্থায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। পরে বাদী কারা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে এবং ১৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামিদের কাছ থেকে ক্যামেরা ও টাকা উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক তুহিনকে মারধর ও ক্যামেরা ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি জানাজানি হলে বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি আরিফুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।