আমি হলাম-ডামি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজক, পালিয়ে থাকা হাসিনা। হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ একটি গণহত্যাকারী এবং জনবিদ্বেষী রাজনৈতিক দল। ক্ষমতায় থাকাকালীন, তারা তাদের বিশ্বস্ত দালাল এবং পদলেহক প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অশুভ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। তাদের মধ্যে একজন হলেন ফেনী জেলা প্রশাসক, মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। পতনের পর, যদিও অনেকেই পরিবর্তিত বা সরে গেছেন, ফেনীর ডিসি মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার কেন এখনও তার পদে রয়েছেন? এই প্রশ্ন এখন ফেনীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, যা একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের সংবিধান এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনশীল। কারণ, এই দেশের ইতিহাস রক্তাক্ত, সংগ্রামী, এবং ছাত্র-জনতার ন্যায্য দাবি আদায়ের ইতিহাস। তাই প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে দায়িত্ব পালন করতে হয় এবং জনগণের মনোভাব বুঝতে হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তা-ব্যক্তিরা রাষ্ট্রের জনগণের সেবক মাত্র। তারা ক্ষমতাসীন সরকারের সব নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে বাধ্য নন, যদি তা জনগণের বিরুদ্ধে যায়।
সরকারের অঙ্গসমূহ হল— আইন বিভাগ বা আইনসভা বা জাতীয় সংসদ, নির্বাহী বিভাগ বা সরকার, বিচার বিভাগ বা বিচারক এবং গণমাধ্যম বা সংবাদপত্র। এগুলি নিয়মিত জনগণের মতামত প্রকাশ করে এবং সরকারি কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ করে। এসব অঙ্গ সংবিধানের আওতায় জনগণের স্বার্থে কার্যক্রম পরিচালনা করে। কারণ, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ।
যেখানে ব্যাপক অর্থে, শাসন বিভাগ বলতে রাষ্ট্রের শাসন কাজে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বোঝায়। এ অর্থে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে গ্রামের একজন চৌকিদার পর্যন্ত সবাই শাসন বিভাগের অংশ।
এই শাসন বিভাগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা আইন বিভাগ কর্তৃক প্রণীত আইন বাস্তবায়ন করে এবং সেই অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করে। নাগরিক হিসাবে আমাদের জন্য খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এবং দেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে।
এদিকে, গত ৪ঠা আগস্ট ২০২৪ ফেনীর মহিপালসহ বহু স্থানে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্মমভাবে গণহত্যা সংগঠিত হয়। এই গণহত্যার দায় ফেনীর ডিসি শাহীনা আক্তার এড়াতে পারেন কিনা, তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলছেন।