সিলেট ও সুনামগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৩ জন এবং সুনামগঞ্জে ৫ জন মারা গেছেন।
শনিবার রাত থেকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বজ্রপাতের কারণে এই মৃত্যুগুলো ঘটে।
জানা যায়, সিলেটে বজ্রপাতের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রামের ডুবির হাওরে, দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার কাটিমারা গ্রামে এবং কোম্পানীগঞ্জের রাজনগরে পৃথক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জে শনিবার রাত থেকে বজ্রপাত শুরু হয়ে রোববারও চলতে থাকে। রোববার সকালে থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বজ্রপাতের কারণে তিনটি উপজেলার চারজন জেলে মারা যান। দোয়ারাবাজারে মাছ ধরার সময় ২ জন, জামালগঞ্জে ১ জন, এবং ছাতকে ১ জন মারা যান। এছাড়া বিশ্বম্ভরপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে, তবে তার মৃত্যু বজ্রপাত নাকি বিদ্যুৎস্পৃষ্টের কারণে হয়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিশ্বনাথে নিহত রেদওয়ান আহমদ (১৯) সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে এবং সিলেট এমসি কলেজের বিএসএস প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সিলেট সদর উপজেলায় নিহত আনছার আলী (৫৫) পেশায় দিনমজুর ছিলেন, আর কোম্পানীগঞ্জে মারা যান মাসুক আহমেদ (৪১)।
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদ আহমেদ জানান, শনিবার রাতে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও রোববার সকাল থেকে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরে নিজের বাড়ির পাশেই বজ্রপাতে মারা যান আনছার আলী। বজ্রপাতে তার শরীর পুড়ে যায়।
রোববার সকালে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের দুই জেলে, জালাল মিয়া (৩০) ও জসিম উদ্দিন (২৮), মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। জামালগঞ্জে শরিফ মিয়া (৩৫) নামের আরেক জেলের মৃত্যু হয়, এবং ছাতক উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের সুন্দর আলীও বজ্রপাতে প্রাণ হারান।
বিশ্বম্ভরপুরে মারা যাওয়া ব্যক্তির সঠিক পরিচয় জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে, আবার অনেকেই মনে করছেন বজ্রপাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক, জামালগঞ্জ থানার ওসি এসএম কামাল হোসেন এবং ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া তাদের এলাকার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় চারজন জেলে বজ্রপাতে মারা গেছেন এবং বিশ্বম্ভরপুরে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতদের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। রয়েছে।