বরিশালে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া: পরিবর্তনের এক নতুন অধ্যায়? বরিশালের পাসপোর্ট অফিসে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পরিবর্তনগুলো স্থানীয় জনগণের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। পাসপোর্ট কর্মকর্তা উপ পরিচালক জাকির হোসেনের পদায়নের পর থেকে অফিসের কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। পূর্বের জটিলতা এবং দুর্নীতির ছায়া কাটিয়ে এখন পাসপোর্ট প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে দ্রুত এবং সহজ।
জাকির হোসেনের যোগদানের পর থেকে মানুষজন এখন অফিসে এসে সুবিধাজনকভাবে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারছেন। তিনি অফিসের সামনে থাকা দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর সভাপতিত্বে, পাসপোর্ট সহায়তা নিতে আসা কোনো ব্যক্তি ফেরত না যাওয়ার নজীর খুবই কম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসের সামনে এখন উপচে পড়া ভিড়। ছবি তোলা এবং ফিঙ্গার দেওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের লম্বা লাইন। তরুণ প্রজন্মসহ অন্যান্যরা আনন্দের সঙ্গে জানিয়েছেন, এখন আর কোনো সিন্ডিকেট বা দালাল চক্রের প্রয়োজন হয় না। তারা সরাসরি প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করছেন।
এদিকে, ভিসা ও পাসপোর্ট কর্মকর্তা উপ সহকারী পরিচালক মাজারুল হকও একই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার অফিসে সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি আমার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, যেন কোনো দালাল চক্রের সদস্য আমাদের অফিসে প্রবেশ করতে না পারে।”
তবে, কিছু অভিযোগও শোনা গেছে। উজিরপুরের শফিক নামক একজন ব্যক্তি জানান, তিনি একটি দোকানে গিয়েছিলেন অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য, কিন্তু দোকানদার তাকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং জানান, এ ধরনের কার্যক্রম পাসপোর্ট অফিসের লোকজনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে বলে তাঁর ধারণা।
সব মিলিয়ে, বরিশালের পাসপোর্ট অফিসে জাকির হোসেন এবং তাঁর সহকর্মীরা যে পরিবর্তন এনেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে, এ ব্যাপারে জনসচেতনতা এবং দালালদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। নতুন সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই অফিসের কার্যক্রম যেন সঠিক পথে চলতে পারে, সে জন্য সকলের সহযোগিতা আবশ্যক।