পিরোজপুরের কাউখালীতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের বিপরীতে নির্ধারিত মূল্যে পুষ্টি মিশ্রিত সরকারি চাল নিম্নমানের বিক্রির সময় ৫৪ টন চাল জব্দ করা হয়। জানা গেছে, উপজেলার ৭ জন ডিলারের মাধ্যমে সরকার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতার ফেয়ার প্রাইজ কার্ডের মাধ্যমে ২০১৬ সালে থেকে ৫ টি ইউনিয়নে ৭ স্পটে প্রায় ৭৫ টন চাল ১০/১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি সদস্যকে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করার কার্যক্রম শুরু হয়। এই উপজেলায় ২ হাজার ৫৬১ জন সুবিধা ভোগী বছরের ৫ মাস এই সুবিধা ভোগ করেন।পুষ্টি হীনতায় হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার পুষ্টি মিশ্রিত এই খাদ্য বান্ধব্য কর্মসূচি চালু করেন। সেই অনুযায়ী ১%পুষ্টি মিশ্রন করা হয়। বিধি মোতাবেক মিলাররে মাধ্যমে প্রথমে খাদ্য গুদামে সরকার চাল সরবারাহ করেন, মিলার পুষ্টি সংযুক্ত করে পুনরায় ডিলারদের কাছে পৌছে দেবে।
এই উপজেলায় খাদ্য বান্ধবের পুষ্টি সংযুক্ত করার দায়িত্ব পান, আছিয়া ও ফাতেমা পুষ্টি রাইস মিল মঠবাড়িয়া স্বত্তাধীকারী জাহাঙ্গীর হোসেন। অভিযোগ উঠেছে মিলার জাহাঙ্গীর হোসেন কাউখালী খাদ্য গুদাম থেকে উন্নত মানের চাল নিয়ে বিক্রি করে নিম্নমানের চালে পুষ্টি মিশিয়ে সরবারহ করেন।ভোক্তারা এই চাল খাওয়ার অনুপযোগী বলে অভিযোগ করলে বর্তমান মাসের চাল বিতরণের আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা সরেজমিন পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে চাল বিক্রয় বন্ধ করে দেন। উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের নিদেশে মিলার জাহাঙ্গীরকে খাদ্য গুদাম থেকে নেওয়া স্যম্পল চালের সাথে মিল রেখে চাল সরবরাহ করা নিদেশ দেন। এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা খাদ্য কর্মকতা মেহেদী হাসান জানান, নেছারাবাদ উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ তৈয়বুর রহমানকে আহবায়ক করে ৩ সদস কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয় তদন্ত কমিটি ৩ কার্য দিবসে প্রতিবেদন পেশ করার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।