ঢাকা, রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ১:৩১
বাংলা বাংলা English English

রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ আহত, যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ জন আটক


রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭জন বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু, ইলিশকোল গ্রামের কালাম শেখের ছেলে আলম শেখ, একই গ্রামের হাসেম ভুঁইয়ার ছেলে জাহিদুল ভুঁইয়া, বালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্যার ছেলে রুবেল মোল্যা, সাঈদ শিকদারের ছেলে আরিফ শিকদার, আমতলার কালু মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া, পথচারী বালিয়াকান্দি গ্রামের বাদশা মোল্যার ছেলে ফিটু মোল্যা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি চৌরঙ্গী মোড়ে দু’গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভুঁইয়াকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলে সহ তার লোকজন লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দু’গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ী জেলা শহরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপিত আর্মি ক্যাম্প হতে ক্যাপ্টেন মোঃ এনামুল হাসানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় যৌথ বাহিনী এ ঘটনায় জড়িত উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আলম চুন্নু(৫৫) সহ ৩জনকে বিএনপির কর্মীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ২জন সংঘর্ষে আহত হওয়ায় তাদেরকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৩জন থানা হেফাজতে রয়েছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
যৌথ বাহিনী সূত্র জানায়, মশিউল আলম চুন্নু সংঘর্ষে আহত হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গেলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে। কিন্তুু সে গ্রেফতার এড়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে। এ সময় সে নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দেয়। কিন্তু যৌথ বাহিনী তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনী টহল ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ বলেন, সংঘর্ষের পর চুন্নুর নেতৃত্বে আমার বাসভবনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষেও খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনী কার্যক্রম চলছে।

সব খবর